শিরোনাম:
ফেক আইডি ফাঁসের জেরে অপপ্রচারের শিকার তরুণ উদ্যোক্তা জাদুকাটা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি ইজারাদারদের তাহিরপুরে পাওনা টাকার জেরে সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধের মৃত্যু, ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সুনামগঞ্জের নদীর পাড়ে ময়লার স্তুপ: ঝুঁকিতে জলজ জীবন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ‘বাঁধ ভাঙলে বিলীন হবে প্রজন্ম’ধোপাজানের ভাঙনে হাহাকার ১৫ গ্রামজুড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে যাদুকাটা নদীতে বাঁশের বেড়া স্থাপন, অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের দাবি ইজারাদারের সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী সাইবার দলের কমিটি ঘোষণা বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে সুনামগঞ্জে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পান্ডারখাল বাঁধে ইট-বালুর স্তুপ: হারাচ্ছে পর্যটন সম্ভাবনা ও পরিবেশ সুনামগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় নতুন মোড় পুনরায় তদন্তে নেমেছেপিবিআই

ফেক আইডি ফাঁসের জেরে অপপ্রচারের শিকার তরুণ উদ্যোক্তা

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার এক তরুণ উদ্যোক্তা ও সাইবার নিরাপত্তা কর্মী সম্প্রতি তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের কাজে সহায়তা করার পর মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, তরুণটি ফেক আইডি শনাক্তে প্রশাসনের সহায়তা করেন। কিন্তু তার এই কাজে সহায়তার পর তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মনি তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি ও অপপ্রচারের অভিযোগ ছড়াতে শুরু করেন।

এ বিষয়ে নাজমুল জানান,
“অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি প্রশাসনকে সহায়তা করেছি মানুষের সাইবার নিরাপত্তার স্বার্থে। কিছু ব্যক্তি আমার ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে।নিজের নিরাপত্তা ও চলমান অপপ্রচার থেকে রক্ষা রবিবার (০২ নভেম্বর) পেতে ধর্মপাশা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন,“আমরা জিডি পেয়েছি। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে, তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন,“জাকিয়া সুলতানা মনি নিজেই একটি ফেক আইডি খুলে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করছিল। সে এখন মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। বাঁচার জন্যই জিডি করেছে। ফেক আইডির বিরুদ্ধেই জিডি হয়েছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।”

স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জাকিয়া সুলতানা দাবি করেছেন,“গত কয়েকদিন আগে ফেসবুকে একজন অপপ্রচারকারী (নিজেকে ‘হ্যাকার’ বলে পরিচয় দিয়েছে) নাজমুল হকের নামে একটি পোস্ট করায় কিছু লোক বিভ্রান্ত হয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, ওই অপপ্রচারী টাকা পেলে পোস্ট মুছে ফেলবে এবং নিজে অর্থনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। আমার আইডি বারবার হ্যাকের চেষ্টা করা হচ্ছে; তাই সবাই সাবধান থাকুন।”

জাকিয়া সুলতানা দেশের বাইরে থাকায় এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সচেতন মহল মনে করছে, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি, যাতে সত্য প্রকাশ পায় এবং সাইবার নিরাপত্তায় কাজ করা তরুণ উদ্যোক্তারা নির্ভয়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।